তিনি বলেন, এটা রীতিমতো ক্রাইম, ফৌজদারি অপরাধ। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর ৭১-বিধিতে আনীত জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে অনেক নামি-দামি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে রোগীকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগের কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের কিছু হাসপাতালের আইসিইউতে রোগী আটকে রেখে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। আমাদের দেশে অনেক সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু এতো জনসংখ্যার দেশে সবাইকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
নাসিম বলেন, আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসে যে, অনেক মুমূর্ষু রোগীকে আটকে রেখে অনেক স্বনামধন্য হাসপাতালেও অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এসব হাসপাতালগুলো ফাইভ স্টারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চালানো হচ্ছে। একাধিকবার রোগীকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা হয়। এমনকি রোগী মারা গেছে, অথচ তাকে জীবিত বলে লাইফ সাপোর্টে রেখে অর্থ আদায় করা হয়। এটি রীতিমত ক্রাইম, ফৌজদারি অপরাধ। অনেক হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, অনেকগুলো বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি যুগোপযোগী আইন আনা হচ্ছে। আইনটি হলে চিকিৎসা ও রোগীর চিকিৎসার নামে যারা অপরাধ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষকে ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে হেলথ কার্ড দিয়ে ৫০ ধরনের রোগের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এটি টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতিতে পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, রাজধানীসহ দেশের বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টের নামে হাসপাতালে রোগী আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা আদায় ও নানা ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে। দেশের বড় বড় স্বনামধন্য হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলে হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে কিভাবে অধিক পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় সেদিকে তাদের লক্ষ্য থাকে বেশি। এ ধরনের কার্যকলাপের কারণে দেশের বেশিরভাগ রোগী বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। দেশের হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিচারাধীন মামলা ৩৩ লাখ
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসএম/জেডএস