মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য আরিফ হোসেন গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।
ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, বাল্যবিয়ে পড়ানো হবে না বলে উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ভোলাকোটের নাগমুদ গ্রামের ওস্তা খলিফা বাড়ির জয়নাল আবেদীনের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়ার সঙ্গে একই বাড়ির মো. এরশাদের (৩০) বিয়ে ধার্য হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের হওয়ার কথা ছিলো। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানায়। পরে তাদের নির্দেশে ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরিফ হোসেন তাদের বাড়িতে গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।
এ সময় বিয়ে বাড়িতে ডোকোরেশন দিয়ে আপ্যায়নের আয়োজন ভন্ডুল করে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে গিয়ে হাজির হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রতিনিধি। তারা উভয় পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করে লিখিত অঙ্গীকার নেন।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবু ইউছুফ বলেন, ঘটনাটি অবগত হওয়ার প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা এ কাজ থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এএটি