উদ্ধারের ৪ দিন পরে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলার বরিশাল বেবি হোম থেকে শিশুকে বুঝে নেন বাবা নজরুল প্যাদা।
উপজেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের সহায়তায় শিশুটিকে হস্তান্তর করেন বেবি হোম কর্তৃপক্ষ।
শিশু হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল, বেবি হোম উপ-তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল দাস গুপ্ত।
শিশুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯ মাস বয়সী ওই শিশুটির নাম হাফিজ। সে গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাঁকোকাঠী গ্রামের বাসিন্দা ও দিনমজুর নজরুল প্যাদার ছেলে।
নজরুল ইসলাম জানান, তার সংসারে চার মেয়ে সন্তানের পর একমাত্র ছেলে হাফিজ। তার স্ত্রী নাসিমা বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় রয়েছে। অর্থের অভাবে গ্রামীণ চিকিৎসা করানো হচ্ছে তাকে। গত ১২ জানুয়ারি শিশু হাফিজকে নিয়ে তার মা নাসিমা বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় সে। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নাসিমাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিতে পারেনি।
এদিকে, বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গৌরনদী উপজেলার চন্দ্রহার গ্রামে খালের কচুরিপানার উপর শিশুটিকে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওই দিনই গৌরনদী থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পুলিশ। পরে সমাজসেবা অধিদফতরের আওতাধীন বরিশাল বিভাগীয় বেবি হোমে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। শিশুটির সন্ধান পেয়ে নজরুল বেবি হোমে যোগাযোগ করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশু হাফিজকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/