তিনি বলেন, সরকার বিদেশি সাহায্যে নয়, নিজস্ব অর্থায়নেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায়। তাই প্রায় ৩ লাখ হিজড়া, যৌনকর্মী, এইচআইভি পজিটিভসহ পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন কঠিন কিছু না।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এক ফোরামের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় এসব কমিউনিটির জন্য সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের বাস্তব পরিস্থিতি সংশ্লিষ্টদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
রিয়াজুল হক বলেন, মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে দেশের আটটি বিভাগে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীর মানুষদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে এইচআইভি/এইডস মুক্ত করা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অধিকার রক্ষার কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো ‘কমিউনিটি ফোরাম অব বাংলাদেশ’। এর সদস্যরা হলো- বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি- বন্ধু, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম-ওকাপ, নেটওয়ার্ক অব পিপল হু ইউজ ড্রাগস- এনপিইউডি, পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্ক, সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক এবং আইডিইউ নেটওয়ার্ক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে ফোরামের সদস্যদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর