ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খোঁজ মেলেনি চীন উপকূলে নিখোঁজ ২ বাংলাদেশির

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
খোঁজ মেলেনি চীন উপকূলে নিখোঁজ ২ বাংলাদেশির মো. হারুন-অর-রশিদ ও মো. সজীব আলী মৃধা।

রাজবাড়ী: চীনের সমুদ্র উপকূলে ইরানি তেলবাহী ট্যাংকার ও জাহাজের সংঘর্ষের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি নাবিকের কোনো খোঁজ মেলেনি।

নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি হলেন- রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের মতিয়াগাছি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মচারী মাজেদ আলী মৃধার ছেলে মো. সজীব আলী মৃধা (২৬) ও চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের সাদেক আহমেদের ছেলে মো. হারুন-অর-রশিদ (৩৭)।

৬ জানুয়ারি রাতে পানামার পতাকাবাহী ‘দি সানচি’ নামের জাহাজটি ইরান থেকে তেল বহন করে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে যাওয়ার সময় পূর্ব চীন সাগরের সাংহাই উপকূল থেকে ২৬৯ কিলোমিটার দূরে হং কংয়ের সিএফ ক্রিসটাল জাহাজের সঙ্গে সানচির সংঘর্ষ হয়।

এ দুর্ঘটনার পর ট্যাংকারে থাকা ৩০ জন ইরানি এবং দুই বাংলাদেশি সজীব ও হারুন নিখোঁজ হন। পরে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মোবাইলে সজীবের দুলাভাই মো. জাকির হোসেন ও হারুন অর-রশিদের বড়ভাই সামসুল আলম টিপুর সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।

জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালে সজীব বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমি থেকে ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স (বিএমএস) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি দুইটি বাল্ক ক্যারিয়ার ও দুইটি ওয়েল ট্যাংকার জাহাজে কাজ করেছেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর জামালপুরের এসকে ইঞ্জিনিয়ারিং এজেন্সির মাধ্যমে ন্যাশনাল ইরানিয়ান ট্যাংকার কোম্পানি-এনআইটিসির ‘দি সানচি ট্যাংকারে’ থার্ড অফিসার হিসেবে যোগদেন। ৩ জানুয়ারি রাতে সজীবের সঙ্গে তার মায়ের সর্বশেষ কথা হয়। এরপর ৭ জানুয়ারি ‘দি সানচি ট্যাংকারটি’ দুর্ঘটনার পর থেকে সজীব নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর আসে।

তিনি আরো জানান, ওই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ৩২ জনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সজীবের মরদেহ আছে কি না তা জানতে বাবা ও বোনের ডিএনএন মিলিয়ে সনাক্ত করা হবে। বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সজীবের বাবা ও বোনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপর ওই রিপোর্ট বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনের পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।   

অপরদিকে, হারুন-অর-রশিদের বড়ভাই সামশুল আলম টিপু বাংলানিউজকে জানান, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর হারুন জামালপুরের এস.কে ইঞ্জিনিয়ারিং এজেন্সির মাধ্যমে ন্যাশনাল ইরানিয়ান ট্যাংকার কোম্পানি-এনআইটিসির ‘দি সানচি ট্যাংকারে’ কাজে যোগ দেন।  হারুনের মরদেহ শনাক্তের জন্য তারা ঢামেক হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার রওনা দিয়েছেন।  

এ বিষয়ে জামালপুরের এস.কে ইঞ্জিনিয়ারিং এজেন্সির পরিচালক আব্দুল মান্নানের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ওই এজেন্সির অফিস স্টাফ টিপু বাংলানিউজকে বলেন, সজীব ও হারুন মরদেহের খোঁজ করে ফিরিয়ে আনতে আমাদের এজেন্সির পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।