তবে আওয়ামী লীগ দলীয় এই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রয়োজন হলে দল থেকে হস্তক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আর সংঘর্ষের বিষয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
একদিন আগে মেয়র আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমর্থকদের সংঘর্ষের পর বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রশ্নের জবাবে সামনে থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাসতে হাসতে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দু’জন পাশাপাশি বসা, একজন সুদর্শন পুরুষ আর একজন সুন্দরী নারী। আপনারা যদি মারামারি করেন, আমি কি করতে পারি!
তিনি বলেন, আমার যতোটুকু মনে হয়েছে তাদের ব্যক্তিগত কারণে সমস্যাটা ঘটছে। হকার যিনি সরাবেন, তিনি নির্বাচিত মেয়র। আবার যিনি বাধা দিচ্ছেন তিনিও ওই অঞ্চলেরই নির্বাচিত প্রতিনিধি। …জবরদখল করে তো কোনো কাজ করা ঠিক না। হকাররা যে কাজটা করছে, তাদের জন্য তো ফুটপাত করা হয় নি, ফুটপাত করা হয়েছে নাগরিকদের চলাচলের সুবিধার জন্য। এখন তাদের যদি চলাচলে বিঘ্ন করে যদি হকাররা ওখানে বসে, আর মেয়র যদি বাধা দেন, মেয়র তো আইনগতভাবে তার সঠিক জায়গায় আছেন।
‘কাজেই আমি কিছু পাবলিকলি বলতে পারছি না, যতক্ষণ না বুঝতে পারছি বিষয়টা কি ঘটেছে ’, বলছিলেন মন্ত্রী।
‘হকাররা যদি ফুটপাত দখল করে থাকে, মেয়র যদি রিমুভ করতে চান, উনি তো আইনগতভাবে ওনার জায়গায় ঠিক কাজ করছেন। হকাররা যদি ওখানে ব্যবসা করে থাকে তাহলে কী কারণে আগে বাধা দেওয়া হয় নি? যদি স্ট্যাব্লিস্ট কিছু থেকে থাকে, তাদের পুর্নবাসন না করে তো চট করে করাও অমানবিক, আমি অনৈতিক বলবো না। বিষয়টি আমি আগে বুঝে নেই, তারপর বলবো। ’
স্থানীয় সরকারে আপনি অভিভাবক, মিটাতে পারছেন না কেন- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আপনারাও তো আগে খবর দেন না, যে ঝামেলা হবে। গতকাল হয়েছে মুখোমুখি হওয়ার পরে। আপনাদের কাছে যেমন অপ্রত্যাশিত, আমার কাছেও। আমি মেয়রকে ডেকে বলতাম… কোনোরকম ভায়োলেন্স করা যাবে না, কালকে ইট-পাটকেলের মধ্যে চলে যাবে, সেটা বুঝলে তো ইন্টারভেন করতাম।
সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি দু’জনে মারামারি করেন, আমাদের কাছে যদি বিচার না আসে, বিচার না আসলে কিভাবে বিচার করতে পারি, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে মারামারি হবে, এটা একটু বেশি মাত্রায় হয়ে গেছে।
‘তবু আমরা রিপোর্ট চাইছি কী হয়েছে, যদি পয়েন্ট অব কনফ্লিক্ট থাকে, তবে আমরা অবশ্যই মীমাংসা করবো, অবশ্যই ইনভলব হবো। আমরা অলরেডি ডিসি, এসপির কাছে রিপোর্ট চেয়েছি, ঘটনাটা কী। আমি তো করবো না, প্রধানমন্ত্রী নিজেই করবেন দুই পক্ষকে ডেকে নিয়ে। আর যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, আমি কথাবার্তা বলতে পারবো। কিংবা আমাদের দলের জেনারেল সেক্রেটারি আছেন, বিষয়টা এখন মুখ ঘুরিয়ে রাখার নয়, এখন বিষয়টি রাস্তায় এসে গেছে। শুধু রাস্তায় আসে নি, ইট-পাটকেলের মধ্যে চলে গেছে। ’
নিজেদের দ্বন্দ্বে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সরকারের ভাবমূর্তির মধ্যে ইনভলব না, একেবারে দু’জনের ব্যক্তিগত দ্বিমতের বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস