বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ওই নারী বাদি হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিএফডিসি সড়কে সুলতান খানের ছেলে হাবিব খা ওরফে মাছ হাবিব ও একই উপজেলার ছোট পাথরঘাটা গ্রামের আলমগীর ঘরামির ছেলে আজাদুল।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বাংলানিউজকে জানান, সোমবার তার ভাই বেল্লালকে নিয়ে বরগুনা থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য পুরাকাটা ফেরিঘাটে যায়। ঘন কুয়াশায় ফেরি আটকে গেলে রাস্তার ওপর তারা দাড়িয়ে ফেরির অপেক্ষা করতে থাকে। এই সময় হাবিব ও আজাদুল ওই নারীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে পুরাকাটা বাজার সংলগ্ন সড়কে বাস-টমটম আটকে গেলে মাইক্রোবাসটিও আটকা পড়ে। এসময় ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয়ার এগিয়ে গিয়ে অপহরণকারীদের আটক করে। এক ঘণ্টা অপহরণকারীদের আটক থাকার পর কৌশলে তারা পালিয়ে যান। এরপর তিনি থানায় মামলা করতে গেলে সেখানে মামলা না নেওয়ায় ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) মো. মাসুদুজ জামান বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয় থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এনটি