প্রধানমন্ত্রীর আদর-যত্নে বেড়ে ওঠা এই তরুণীর নাম পূর্ণিমা। সেই পূর্ণিমা শীল, পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন যিনি।
এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী পূর্ণিমা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার দেলুয়া গ্রামের অনিল কুমার শীলের পরিবারের ওপর ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী ৮ অক্টোবর রাতে চালানো বর্বর অত্যাচার-নির্যাতনের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা অনিল শীলের ছোট মেয়ে পূর্ণিমা শীলকে অবর্ণনীয় নির্যাতন করে।
ঘটনার পর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি পূর্ণিমা শীল ও তার পরিবারকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এমন এক নির্যাতিতাকে কাছে টেনে নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়ে বুধবার ফেসবুকে পোস্ট দেন তারানা হালিম, সেই খবর ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পূর্ণিমার খুশি যেন ধরছে না, এর ফোন, ওর ফোন। নিজেও ফোন করে প্রিয়জনদের খুশির খবরটি জানাচ্ছেন।
সন্ধ্যার পর অনেক চেষ্টা করে ফোনে পাওয়া গেল পূর্ণিমাকে। শান্ত কিন্তু গম্ভীর স্বরে জানতে চাইলেন, ‘কে বলছেন?’
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কী বলবেন তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না পূর্ণিমা। অার বেশি কথাও বলতে চাইছিলেন না।
বাংলানিউজকে বললেন, ‘অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এখন কাজ করতে চাই। টিকে থাকতে চাই, অাপনাদের ভালোবাসায়। ’
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন বলে জানান পূর্ণিমা।
চার বোন, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে অষ্টম পূর্ণিমা। অাছে এক ছোট ভাই। মা, ভাই-বোন মিলে ঢাকায় থাকেন। ছোট বাচ্চাদের গান শেখান কৈশোরে নির্যাতিত এই তরুণী।
তারানা হালিম ফেসবুকে বলেন, ‘মনে পড়ে সেই পূর্ণিমাকে? ২০০১ এর ১ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামাতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ১৪ বছরের মেয়েটি। হ্যাঁ, আমি সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা শীলের কথা বলছি। আজ আমি গর্বিত আমি পূর্ণিমাকে আমার ‘পার্সোনাল অফিসার’ হিসাবে নিয়োগ দিলাম। পূর্ণিমা, তোমাকে আমরা ভুলে যাইনি। জীবনের অন্ধকার রূপ তুমি দেখেছো, আলোর জগতে তোমায় স্বাগতম, শুরু হোক নতুন পথচলা। তোমাকে অভিবাদন প্রিয় পূর্ণিমা। ’
তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলছিলেন, পূর্ণিমাকে সম্মানিত করার মাধ্যমে অামরাই সম্মানিত হই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমঅাইএইচ/এইচএ/
** সেই পূর্ণিমাকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বানালেন তারানা