এ নিয়ে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আটকরা হলেন- বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের বিহানালী গ্রামের সোলাইমান মাস্টারের ছেলে রেজাউল করিম (৪০), আব্দুল মতিন (৩৫) ও মাহিন হোসেন (৩০)।
তাদের কাছ থেকে স্থানীয়রা একটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তবে বাগামারা থানার ওসি জানিয়েছেন তাদের কাছে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বাগমারার ঝিকড়া বিলে অপরিকল্পিতভাবে খাল কাটার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মাড়িয়া ও যোগীপাড়া ইউনিয়নের পাঁচটি বিলের কয়েক হাজার একর জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে। জমিগুলোতে ফসল উৎপাদনের জন্য শুক্রবার সকালে চারটি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগে বিলগুলোর পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল কাটার কাজ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে বিহানালী গ্রামের সোলাইমান আলী মাস্টারের তিন ছেলে এ কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপুরে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোলাইমান আলীর ছোট ছেলে মাহিন হোসেন তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে খাল খননকারীদের ভয় দেখায়।
এ সময় খাল খননকারীরা ওই তিনজনকে ধরার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে ঝিকরা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় পুকুর খননকারীরা পুলিশকে উপেক্ষা করে অস্ত্রধারীদের মারধর করার চেষ্টা করে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনস্বার্থে ওই স্থানে খাল কাঁটা হবে বলেও উভয় পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আটক তিনজনের বিরুদ্ধে কেউ এজাহার দিলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে তাদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এটা মিথ্যা কথা বলেও উল্লেখ করেন বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
এসএস/জিপি