শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে-আলম বাংলানিউজকে বলেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে ৬ জানুয়ারি (শনিবার) থেকে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিকেরও বেশি নারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দগ্ধদের শরীরে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন-দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুভাষ চন্দ্রের স্ত্রী গীতা রানী (২৫), লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার মিজানুর রহমানের স্ত্রী রুমকি (২৭), নীলফামারী সদরের মৃত তমিজ উদ্দীনের স্ত্রী আফরোজা (৭৫) এবং দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত খোদা বকসের ছেলে মকবুল (৬২) মারা যান।
এর আগে, লালমনিরহাট সদর থানার শাম্মি আখতার (২৭), একই জেলার পাটগ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২) ও আলো বেগম (২২), রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপি বেগম (৩০), নীলফামারীর রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর নগরীর নজিবেরহাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪০), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫), রংপুরের মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫), নীলফামারী সদরের সোনারাম গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), লালমনিরহাট জেলার রাজপুর গ্রামের শুকমনি (৭০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫), কুড়িগ্রামের নুরিজা (৩০) ও পঞ্চগড়ের আরজিনা (২৮)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
ওএইচ/