১. মঙ্গল গ্রহে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের রং নীল।
২. মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে খুব অল্প মাত্রায় অক্সিজেন রয়েছে।
৩. মঙ্গলগ্রহে কোনো তরল পদার্থ স্থায়ী হতে পারে না। এ গ্রহের বায়ুর চাপ ও তাপমাত্রা খুবই কম। ফলে পানির অণুগুলো বাষ্প রূপে ছড়িয়ে পড়ে, নয়তো বরফের আঁকার ধারণ করে।
৪. পৃথিবীর মতোই মঙ্গল গ্রহের দুই মেরুতে বরফ রয়েছে। কিন্তু এসব আসলে ‘ড্রাই আইস’ বা শুষ্ক বরফ। শুষ্ক কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কঠিন রূপকেই ড্রাই আইস বলে। অনেক কম তাপমাত্রায় এবং কম চাপে গ্যাসীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড রেখে দিলে সেটি তরলে রূপান্তরিত না হয়ে সরাসরি কঠিন পদার্থের আকার ধারণ করে। এ ড্রাই আইস গরম পরিবেশে তরল না হয়ে আবার সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয়। তাই প্রতি বসন্তকালে মঙ্গলগ্রহের মেরুদেশীয় বরফ উধাও হয়ে যায়।
৫. প্রকাণ্ড আকৃতির বালুঝড় সংঘটিত হয় মঙ্গলগ্রহে। এসব বালু ঝড়ের উচ্চতা তিন মাইল পর্যন্ত হয়।
৬. মঙ্গলগ্রহের দুই উপগ্রহ ডেইমস ও ফোবসের আকৃতি এতোই ছোট যে মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে এদের অনেক সময় দেখাই যায় না।
৭. মঙ্গলের মাটিক্ষয় অনেক ধীরে হয়। ফলে উল্কাপাতে সৃষ্ট গর্ত সেখানে পৃথিবীর চেয়েও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়।
৮. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপত্যকা মঙ্গলগ্রহে। এ উপত্যকা প্রায় ২৫০০ মাইল জুড়ে বিস্তৃত।
৯. পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহকে লাল দেখালেও এর মাটিতে সোনালি, বাদামি, হলুদ, সবুজসহ নানা রঙের উপাদান বিদ্যমান।
১০. পৃথিবীতে মঙ্গলগ্রহের বেশ কিছু পাথর রয়েছে। বড় আকৃতির উল্কা মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে আঘাতের ফলে সৃষ্ট বিস্ফোরণে এসব পাথর মহাশূন্যে চলে এসেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ