আবার এখনও হাতে আসেনি নদীর ১৪ পিলারের নকশা। ফেব্রুয়ারিতে নকশা পেলে শুরু হবে অসমাপ্ত পিলারগুলোর পাইল ড্রাইভ।
এখন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের ৫০ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে নির্মাণ প্রকৌশলীরা বলছেন। দুই বছর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ শুরু হয়েছিলো। শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। সে হিসেবে এখন বাকি আর ১১ মাস।
পদ্মাসেতুর স্প্যান আগে থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। চীন থেকে আনা স্প্যানের জয়েন্ট দেওয়ার কাজ শেষ করে এরইমধ্যে ১০টি স্প্যান মাওয়ায় তৈরি রাখা আছে।
নদীতে মূল সেতুর ২৪০টি পাইলের মধ্যে ৯৮টি পাইল ড্রাইভ হয়েছে। নদীর দুই পাড়ে সেতুতে ওঠার ট্রানজিশন পিলারে ৩২টি পাইলের মধ্যে ১৬টির কাজ শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৭২টি পাইল পদ্মাসেতুতে।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প সূত্র জানায়, নদীতে যে ২৪০টি পাইল তার মধ্যে জাজিরা পাড়ের কাছে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রথম স্প্যান এবং ৩৯ নম্বর পিলারের কাজ শেষে দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হয়েছে। ১৩, ১৪, ১৬ ও ২৩ নম্বর পিলারের সবগুলো পাইল ড্রাইভ শেষ। ১৭ ও ২২ নম্বর পিলারের বটম সেকশনের ৬টি করে পাইল ড্রাইভ শেষ। ৩ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ লাগানো শেষ। ৪০ নম্বর পিলার প্রস্তুত। ৪১ নম্বরে পাইল ক্যাপ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন ৪২ নম্বর পিলারে কাজ শুরু হয়েছে। আর ৩৩, ৩৪, ও ৩৬ নম্বর পিলারের সবগুলো পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন।
এদিকে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারে বটম প্লাগ বসানোর কাজ চলছে। মাওয়ার প্রান্তে সংযোগ পিলারে পাইলিং কাজ চলছে।
পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৬টি পিলারের ১৫৬টি পাইলের নকশা (গভীরতা) চূড়ান্ত করা আছে। ফের নকশা প্রক্রিয়াধীন আছে ১৪টি পিলারের ৮৪টি পাইলের। এ পিলারগুলো হলো মাওয়ার কাছে ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ এবং জাজিরার কাছে ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৫ নং পিলার। ফেব্রুয়ারি মাসে এ ১৪টি পাইলের চূড়ান্ত ডিজাইন পাওয়া যেতে পারে। নদীর পাইল ড্রাইভ কাজে এখন পর্যন্ত এটিই অগ্রগতি।
সেতুর ওপরের কাঠামো বা সুপার স্ট্রাকচারের কাজ হয় নদীর মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড ও চীনে। ৪১টি স্প্যানের দু’টি বসানোর পর এখনও স্প্যান বসানো বাকি ৩৯টি।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা, নদী শাসন কাজে ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা, মাওয়া সংযোগ সড়ক নির্মাণে একশ’ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, জাজিরা সংযোগ সড়ক নির্মাণে এক হাজার ৯৭ কোটি টাকা। দু’টি সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে দুইশ’ আট কোটি টাকা, পুর্নবাসন, জমি অধিগ্রহণ, অস্থায়ী নদী সুরক্ষা কাজে ব্যয় ৬ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এসএ/জেডএস