দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তুহিনের চাচাতো ভাই মাহফুজুল ইসলাম (১৭) ও তার বাবা বিল্লাল হোসেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মরদেহ গুমের অপরাধে ২০১ ধারায় প্রত্যেককে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিন। এছাড়া প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করার অভিযোগে দু’জনকে ৩৬৪(ক) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমএ রহিম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলার বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক নাছিরউদ্দীনের ছেলে খড়িয়া ব্র্যাক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মাকসুদুল ইসলাম তুহিন। ২০১৫ সালের ৮ মে বিকেলে মাঠে খেলতে গিয়ে অজ্ঞাত অপহরণকারীদের হাতে অপহৃত হয় সে। এ ব্যাপারে নাছিরউদ্দীন ৯ মে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
৮ মে বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে আম ভর্তা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয় তুহিনকে। পরের দিন মোবাইলে ফোন করে তুহিনের বাবা নাছিরউদ্দীনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়।
১২ মে বিকেলে নরসিংদী থেকে মাহফুজুল ইসলামকে আটক করা হয়। পর তার দেওয়া তথ্য মতে আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি গ্রামের একটি ড্রাম থেকে তুহিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিজের বাবাকে মারধরের প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে তুহিনের চাচাতো ভাই মাহফুজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮ আপডেট সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা
জিপি