প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন।
আইসিটি আইনে বহুল আলোচিত ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হলেও নতুন আইনে শাস্তিগুলো বিন্যাস করে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সাইবার অপরাধের আধিক্য রয়েছে। সাইবার ক্রাইমের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেকবার আক্রমণের শিকার হয়েছি। অপরাধ দমনে কোনো আইন না থাকায় নতুন আইন করা হয়েছে। আইসিটি আইন বা অন্য আইনে যা নেই সেটি এই আইনে নিয়ে আসা হয়েছে।
১৭-৩৮ ধারা পর্যন্ত দণ্ড অপরাধ ও দণ্ড উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ করেন বা প্রবেশ করে ক্ষতি করেন বা চেষ্টা করেন তাহলে সেটি হবে অপরাধ।
বেআইনি প্রবেশ করলে অনধিক ৭ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আর ক্ষতি করলে অনধিক ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করে তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।
আইনে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠনের কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে আইনে, যার সদস্য সংখ্যা ১১ জন।
খসড়ায় অনুমোদন হওয়া আইন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮/আপডেট
এমআইএইচ/এএ