সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিব গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর রালদিয়া গ্রামের বকাউল বাড়ির মানিক গাজী ছেলে এবং নাজমুল ইসলাম একই বাড়ির বাবুল বকাউলের ছেলে।
নিহত আল-আমিন চাঁদপুর শহরের বিপনবাগ এলাকার বাসিন্দা মির্জা মো. অজি উল্যাহর ছেলে। তিনি শহরের পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে আল-আমিনকে তার বন্ধুরা ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি বাসায় না ফেরায় পরদিন তার বাবা চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তাকে খুঁজে না পাওয়ায় ২ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পুলিশ নিশানকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশ তাদের সঙ্গে নিয়ে তারা সদর থানার রালদিয়া গ্রামস্থ মিয়াজান প্রধানিয়ার বাড়ির পশ্চিম উত্তর কোনে বাগানে যান। আটকরা নেশার টাকার জন্য আল-আমিনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা সেখানে মাটি চাপা দেয় বলে আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে। পরে পুলিশ আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রব তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের উপস্থিতিতে ৫৫ মিনিট মামলাটি শুনানি হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এতে আসামীদ্বয় অপরাধ স্বীকার করায় অাদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং মোবাইল চুরির অপরাধে প্রত্যেককে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি এবং আসামিদের পক্ষে সরকার নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন জয়নাল আবেদীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এনটি