সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আইসিইউ থেকে রুবিনাকে নেওয়া হয়েছে ২০৬ নং ওয়ার্ডে।
ঢামেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আল্লাউদ্দিন জানান, কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়ে রুবিনার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
এদিকে রুবিনার দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তার চাচা শাজাহান আলী জানান, দুই বছর আগে রুবিনার বাবা রবিউল ইসলাম মারা যায়। তিন ভাই বোনের মধ্যে রুবিনা দ্বিতীয়। বড় বোন জুলেখা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, ছোট ভাই রুবেল রংপুরে কারমাইকেল কলেজের ছাত্র।
তিনি আরো জানান, বাড়ি থেকে কিছু সহযোগিতায় পাশাপাশি রুবিনা নিজেই টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ চালাতো। বেশ ক’দিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না, বেশ দুর্বল ছিলো। বিষয়টি সে তার মাকে জানায়। মায়ের পরামর্শে বাড়ি যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়েছিলো সে।
পা হারানোর সংবাদে পাগল প্রায় মা মেয়েকে দেখতে ঢাকা রওনা হয়েছেন।
চাচা শাজাহান আলী জানান, সোমবার সকালে রুবিনার সঙ্গে দেখা করতে আইসিইউতে গেলে সে আমাকে বলে, চাচা আমার পা দু’টি কি জোড়া লাগবে না। তবে আমি তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি, চিকিৎসকরা সব ঠিক করে দেবে। তুমি আবার হাঁটতে পারবে।
রাজধানীর কমলাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই পা হারান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবিনা (২২) নামের এই শিক্ষার্থী। রেললাইন ধরে হাঁটার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলে তখন ওই লাইন ধরে যাওয়া একটি ট্রেনের ইঞ্জিনে কাটা পড়ে রুবিনার পা জোড়া।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্ম সংলগ্ন রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রুবিনাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) পুলিশ।
রুবিনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার রবিউল ইসলামের মেয়ে। সদরঘাট এলাকায় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এজেডএস/জেডএস