সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নাগেরবাগ ও বাকমোরচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাকমোরচা ও নাগেরবাগ এলাকা দু’টি পাশাপাশি।
শুক্রবার এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে নান্নুর ছেলে রুবেল মিয়া ও তার লোকজন সাকিবকে মারধর করেন। শনিবার বিকেলে সাকিব ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাকমোরচা এলাকায় গিয়ে ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এর জেরে রোববার রাতে রুবেল ও তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে নাগেরবাগ এলাকায় গিয়ে ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। দুই দফা সশস্ত্র মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর সোমবার দুপুরে বাকমোরচা এলাকার রুবেল, আব্দুল্লাহ, কালাম, মাসুম বিল্লাহ, সৌরভসহ বেশ কয়েকজন আবার নাগেরবাগ এলাকায় হামলা চালান। এসময় নাগেরবাগ এলাকার সাকিব, মফিজ, হাসিব, আকাশ, এনামুলসহ বেশ কয়েকজন পাল্টা হামলা চালান। এসময় উভয় পক্ষ থেকে ১৮-২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
পরে নাগেরবাগ এলাকার মনির হোসেনের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় একটি সেলুন ও একটি মুদি দোকান।
খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাছির মিয়া বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল আলম বলেন, এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এসআই