সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই দুটির মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুলিশের বিদায়ী আইজি বলেন, ‘আগের আইনে দায়ের হওয়া মামলা বাতিল হবার নিয়ম নেই। মামলা হয়েছে, তদন্তও চলছে। তদন্ত চলবে আগের আইনেই (৫৭ ধারায়)। ’
‘আগেই জানানো হয়েছিল, ৫৭ ধারায় মামলা করতে হলে পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি লাগবে। কিছু মামলা অনুমতি ছাড়াই হয়েছে। তবে সেসব মামলার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ছিল। এসব বিষয় পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ’
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আইনের খসড়া না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে খুব বেশি পার্থক্য হবে বলে মনে হয় না। সাজার ক্ষেত্রে হয়তো কমতে পারে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন হানাদার বাহিনী হামলা চালানো হয় তখন পুলিশ তা অনুমান করতে পেরেছিল। যে কারণে আগেভাগেই রাজারবাগেই হামলা হয় ও রাজারবাগ থেকেই প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
‘পুলিশ কাপুরুষের মতো পালিয়ে যায়নি। যা ছিল তা নিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল পুলিশ। ’
পুলিশ প্রধান বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। এই জাদুঘরে ১৯৭১ সালের ৫৭৬ টি দুর্লভ ছবি সংরক্ষিত রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চর্চা বাড়াতে ও নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পুস্তিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এসজেএ/এমএ