অভিযোগ অনুযায়ী, রোববার (২৮ জানুয়ারি) এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই নারী পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভিকটিম রুবানা ফেরদৌস বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকেই সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম ও বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইউনুস আলী আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। যার রেকর্ড আমার মোবাইল ফোনে আছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কয়েক মাস আগে এই দুই কর্মকর্তা আমাকে ধাক্কা দেওয়ায় আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
ওই নারীর মা শামসুন্নাহার বাংলানিউজকে বলেন, তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে কাজের ছুঁতোয় দূর দূরান্তে পাঠানো হতো। তারপর থেকেই পরিবার থেকেই মেয়েকে পাহাড়া দিয়ে অফিসে কাজ করানো হতো। রোববার বিকেলে দূরের একটি কাজের কথা বলা হলে আমার মেয়ে তা করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দু’জন তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে আমার মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে পাকশীর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুজিত কুমার রায় বলেন, তিনি অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তিন ঘণ্টা পর তার জ্ঞান ফিরে আসে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত হলেও তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ। তার বিশ্রাম দরকার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, মেয়েটি শারীরিকভাবেই দুর্বল, তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। আর আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে বিভাগ পাকশীর বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে আমি বর্তমানে কর্মস্থলের বাইরে আছি। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কর্মস্থলে ফিরে তদন্ত সাপেক্ষে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এসআই