ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার প্রতীক দশম সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার প্রতীক দশম সংসদ

সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান দশম জাতীয় সংসদকে জনকল্যাণকর ও অর্থবহ সংসদ বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্যরা। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার প্রতীক দশম সংসদ। বর্তমান সংসদ গঠিত না হলে তৃতীয় শক্তি এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করতো মত দেন তারা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ বর্ষপূর্তির দিন সংসদে অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ।  

এরপর আলোচনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল মতিন খসরু, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ।

সভাপতির চেয়ারে বসা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমার দীর্ঘ জীবন প্ররিক্রমায় যে কয়টি সংসদে দেখেছি। এর মধ্যে নবম সংসদ এবং দশম সংসদ অত্যন্ত অর্থবহ। এরচাইতে অর্থবহ সংসদ আগে কোনোদিন দেখি নাই। বিশেষ করে দশম সংসদের কার্যকলাপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটি একটি বিরল ইতিহাস।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই সংসদ খুব সফল সংসদ। এই সংসদ এরইমধ্যে সফলতা অর্জন করেছে। এই পার্লামেন্ট গঠনমূলক। এখানে বিরোধী দল বিভিন্ন বিষয়ে কথা তুলেছেন সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রীরা জবাব দিয়েছেন। এই সংসদে অনেকগুলো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, এই সংসদ গঠনের সময় বিএনপিসহ কেউ কেউ বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। প্রশ্ন তুলেছিলেন যারা তাদের কেউ কেউ নিজেরাই দুই একবার বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যেমন ড. কামাল হোসেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, সেদিন যদি নির্বাচন না হতো আর এই সংসদ যদি না থাকতো তাহলে দেশের অবস্থা কোথায় যেত? তৃতীয়শক্তি এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করে রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতো। সেদিন নির্বাচন হয়েছিল বলে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত আছে। আজ গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কে আসল, কে আসল না এটা তাদেরই দায়িত্ব। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভাসানির দল আসেনি তাতেও কিন্তু নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনকে এমন একটা জিনিস একটা দেশকে স্বাধীনতাও দিতে পারে, গণতন্ত্রও দিতে পারে। কাজেই নির্বাচনের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। কে আসবে না আসবে আমাদের দেখার বিষয় না।  

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে নির্বাচনী ট্রেন মিস করেছে, আগামীতে ট্রেন মিস করলে ছিটকে পড়বে। আগামীতেও সুন্দর পরিবেশে সংসদ গঠিত হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী সংসদ হবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংসদ।

প্রধান হুইপ আ. স. ম ফিরোজ বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রাখার প্রতীক এই সংসদ। এই সংসদ না থাকলে গণতন্ত্র কোথায় যেত?

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।