তিনি বলেন, ফয়জুন্নেসাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য প্রথমে বেগম এবং পরে নওয়াব উপাধি দেন মহারানি ভিক্টোরিয়া।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও পিএনএফ ট্রাস্টের (Philanthropist Nawab Fayzunessa trust) যৌথভাবে নবাব ফয়জুন্নেছার ওপরে একটি সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম এমপি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ইব্রাহিম হোসেন খান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, ইতিহাসবিদ সোনিয়া নিশাত আমিন এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, সে সময় জমিদার বংশের সন্তান হিসেবে বেশ আরাম-আয়েশের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠেন ফয়জুন্নেসা। মোগল রাজত্বের উত্তরসূরী ফয়জুন্নেসার দুই ভাই এয়াকুব আলী চৌধুরী ও ইউসুফ আলী চৌধুরী। দু’বোন লতিফুন্নেসা চৌধুরানী ও আমিরুন্নেসা চৌধুরানী। ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ায় তার আগ্রহ দেখে বাবা তার জন্য একজন গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, তিনি কঠোর নিয়মানুবর্তিতায় নিজের জ্ঞানস্পৃহা বিকাশ করেন। গৃহশিক্ষকের সাহায্যে ফয়জুন্নেসা দ্রুতই কয়েকটি ভাষার ওপর জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। বাংলা, আরবি, ফার্সি ও সংস্কৃত এ চারটি ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভসহ ফয়জুন্নেসার নানামুখি প্রতিভা বিকাশে তার শিক্ষক তাজউদ্দিনের অবদান অতুলনীয়। ফয়জুন্নেসা তার চিন্তা কাজ কর্মে ছিলেন সে সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক। সেকালের সমাজ ব্যবস্থার সব বাঁধা পেরিয়ে তিনি সম্পূর্ণ কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠনে মনযোগ দিয়েছিলেন। তাই একজন নারী হয়েও সে সময়ে জমিদারির কঠিন দায়িত্ব তিনি সফলভাবে পালন করতে পেরেছেন। তিনি শাসনকাজ পরিচালনা করেছেন নির্ভীকভাবে। ১৮৮৯ সালে মহারানি ভিক্টোরিয়ার নির্দেশক্রমে ফয়জুন্নেসাকে 'নওয়াব' উপাধি দেওয়া হয়।
পিএনএফ ট্রাস্টের ফাউন্ডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সুপন রায় সেমিনারের শুরুতে ফয়জুন্নেছার ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এইচএমএস/এসআই