ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আন্দোলনে সরগরম প্রেসক্লাব এলাকা, যানজট-দুর্ভোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
আন্দোলনে সরগরম প্রেসক্লাব এলাকা, যানজট-দুর্ভোগ প্রেসক্লাবের সামনে চলছে কর্মসূচি, পথচারী হাঁটছে রাস্তায়, আর যানবাহন চলতে বাধ্য হচ্ছে এক লেন মেনে ধীরগতিতে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমানে চলছে নানা সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি। এ কারণে প্রেসক্লাব ঘিরে থাকা তোপখানা রোড, পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট, সচিবলায়, হাইকোর্ট-মৎস্যভবন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। 

মানববন্ধন, অবস্থান প্রভৃতি এখানে নিত্যই লেগে থাকলেও বেশ ক’সপ্তাহ ধরে বেড়ে গেছে লাগাতার কর্মসূচি, যে কারণে যানজটের তীব্রতাও বাড়ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, শাহবাগ, কাকরাইল এলাকার অফিস-আদালত-কর্মস্থলগামী যাত্রীসাধারণকে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, একইসঙ্গে তিনটি সংগঠনের অনশন কর্মসূচি চলছে। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত চলছে আমরণ অনশনের দশম দিন। এছাড়া ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতে চলছে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি।  

আয়োজকরা ‘ন্যায্য ও যৌক্তিক’ দাবিতে এসব কর্মসূচি পালনের কথা বললেও তাদের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার সজ্জিত অবস্থান মঞ্চ ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে যানবাহন চলাচলে। যার ভোগান্তিটা পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

প্রেসক্লাবের সামনে চলছে কর্মসূচি, যানবাহন চলতে বাধ্য হচ্ছে এক লেন মেনে ধীরগতিতে।  ছবি: বাংলানিউজপল্টন থেকে প্লেসক্লাবের সামনে দিয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে শুধুমাত্র একটি লেন ধরে। তাও ধীরগতিতে। এই ধীরগতির কারণে পেছনে যানবাহনের লাইন হচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। যেটা গিয়ে ঠেকছে একদিকে জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত, অপর দিকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। আর পল্টন মোড়ে যানবাহনের চাপের কারণে বিপরীত দিকের সড়কেও দেখা দিচ্ছে যানজট। চাপ বাড়ছে কাকরাইল, মৎস্য ভবন, শাহবাগ পর্যন্ত এলাকায়।

নারায়ণগঞ্জ-মিরপুর রুটে চলাচলকারী হিমাচল পরিবহনের যাত্রী হিমেল তোপখানা রোডে বাংলানিউজকে বলেন, গুলিস্তানের পর থেকেই গাড়ি ধীরে ধীরে চলছে। প্রেসক্লাবের সামনে এসে বুঝতে পারলাম এর কারণটা। এমনিতেই যানজটের শহর ঢাকা। তারওপর এ ধরনের বাড়তি রাস্তা দখল যানজটকে করছে আরও লাগামহীন।

প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা দখল করে চলছে কর্মসূচি।  ছবি: বাংলানিউজপরিবহনটির চালক আজাহার হোসেন বলেন, ‘এরকম অনেকদিন ধইরা হচ্ছে। সরকার যেখানে কিছু করে না সেখানে আমরাইবা কী করি। জ্যাম ঠেইলা যাই-আসি। সময় বেশি লাগে দেইখা আগের মত ট্রিপ দিতে পারি না। টাকাও কম পাই। ’

এদিকে কর্মসূচির ১০ দিন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি আমরণ অনশন পালন করতে থাকা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের ভাষ্য, সরকার শুধু তাদের মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। কোনো সমাধান দিচ্ছে না। তাই তারাও রাজপথ ছেড়ে উঠছে না। আবার অনেকেই রাত করে অনশনে অংশ নেওয়ার কারণে শীতের প্রকোপে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। একই অবস্থা আন্দোলনরত অন্যান্য সংগঠনগুলোরও।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।