মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) শহরের খামারবাড়ী প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল।
পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ পরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদায় ফুলচাষ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুষ্প মেলা সৌখিন ও বাণিজ্যিক ফুল চাষিদের বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ফুলের সঙ্গে পরিচিত করবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলায় প্রথমবারের মত এ পুস্প মেলার আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
পুষ্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী জেলা নার্সারি সমিতির সভাপতি কামাল আহম্মেদ বলেন, আগে পাবনাতে প্রতি বছর পুষ্প মেলা অনুষ্ঠিত হতো। সেই পুষ্প মেলায় অংশগ্রহণের জন্য জেলার সব নার্সারি মালিক এবং ব্যক্তিগত পুষ্প চাষিরা অংশগ্রহণ করতো। অনেকদিন পরে আমরা ফুল চাষিরা আবার পুষ্প মেলাতে অংশগ্রহণ করছি। আশা করছি সরকারিভাবে প্রতি বছর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে পুষ্প মেলার আয়োজন করা হবে। এতে চাষিরা অনুপ্রাণিত হবে এবং ফুল চাষে আগ্রহ বাড়বে।
পুষ্প মেলার আয়োজক পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতি ভূষন সরকার বলেন, অনেকদিন ধরে আমরা ভাবছিলাম পুষ্প মেলার আয়োজন করবো। চাষিদেরও একটি আবেদন ছিলো ফলজ এবং বনজ বৃক্ষের পাশাপাশি ফুল চাষের দিকেও মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করা। এখন থেকে প্রতি বছর আমরা এ মেলার আয়োজন করবো।
প্রথমদিন থেকেই মেলায় বিভিন্ন বয়সের ফুলপ্রেমী দর্শনার্থীরা ভীড় করছেন। গাঁদা, বেলী, ডালিয়া, হাস্নাহেনা, সূর্যমূখী, বনসাই পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফুলের চারাও পাওয়া যাচ্ছে স্টলগুলিতে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আগামীতে মেলার পরিসর বাড়ানোর প্রত্যাশা রয়েছে আয়োজকদের। ১০ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ