ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিএসপি প্লাস পাবো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
জিএসপি প্লাস পাবো

সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে রপ্তানি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত (জিএসপি) সুবিধা দিচ্ছে না জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর জিএসপি সুবিধা চাই না। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবো।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।

বর্তমান সরকারের আমলে রপ্তানি ক্ষেত্র যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৬৮টি দেশে ২৫টি পণ্য রপ্তানি করে আয় হতো ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সেই সময় মূল রপ্তানিকারক খাত ছিল পাট, চা ও চামড়া। বর্তমানে ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্যে রপ্তানি করছি। পাকিস্তানের চাইতেও আমাদের রপ্তানি বেশি। অনেক স্বল্পোন্নত দেশের চাইতে বেশি রপ্তানি করি।

তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছিল তবে সেবাখাত মিলিয়ে রপ্তানি ছিল ৩৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি হবে ৪১ বিলিয়ন ডলার। আমাদের ভিশন ২০২১ সালে রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্র ছাড়া অধিকাংশ দেশেই ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি রপ্তানি সুবিধা পাই। যেমন চীন, ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডসহ বহু দেশে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছি। বিশ্বখাদ্য সংস্থা ডব্লিউটিও এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশে জিএসপি সুবিধা দেওয়ার কথা। পৃথিবীর সকল দেশ দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি। আমরা চামড়া, সিরামিক, তামাক, আর প্লাস্টিক পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতাম সেটাও স্থগিত করেছে। আমরা এসব পণ্য থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতাম। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জিএসপি সুবিধা চাই না। প্রতিবছর আমাদের কমপক্ষে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ডিউটি দিতে হতো। কোটা ফ্রি, ডিউটি ফ্রি সুবিধা সেদিন আর বেশি দূরে নয়। আমরা এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েটে উন্নীত হতে পারবো। আমরা ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবো। আমরা জিএসপি নয়, জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।