মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘নারী শ্রমিক সম্মিলন-২০১৮’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহজাহান খান বলেন, শেখ হাসিনা একজন নারী হয়েও বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
তিনি বলেন, যেমনটি শেখ হাসিনার দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা আছে। তিনিও একজন নারী আর খালেদা জিয়াও একজন নারী। কিন্তু দুই নারীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। খালেদা জিয়া তার শাসনামলে রমজান মাসেও গুলি করে নারী শ্রমিক হত্যা করিয়েছিলো। আর শেখ হাসিনা নারীদের জন্য কি করেছেন তা আপনারা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেই উপলব্ধি করতে পারছেন।
নারী সম্মিলনের সভাপতি, শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী নেত্রী শিরিন আখতার বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, কৃষিমন্ত্রীও নারী। নারী আজ উড়োজাহাজ চালাচ্ছে, জাহাজ চালাচ্ছে। সব জায়গায় মেয়েরা স্থান করে নিচ্ছে। সকালে চলতি বাসে ওঠার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কর্মস্থানে যোগ দেওয়া ও রাত দুপুরে নষ্ট মানুষের রক্তচক্ষুকে মোকাবেলা করে কাজ শেষে বাসায় ফেরার মধ্যেই শ্রমজীবী নারীর সাফল্য ফুটে ওঠে।
কর্মজীবী নারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি এ নারী নেত্রী বলেন, অনেক উন্নতি আসতে শুরু করলেও যেতে হবে আরো অনেক দূর। আমরা সংসদে সংরক্ষিত আসনগুলোতে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চান নারীরা সাধারণ আসনে মনোনয়ন নিয়ে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসুক। প্রধানমন্ত্রী হয়তো এই চ্যালেঞ্জ বোঝেন বলেই আরো ২৫ বছর নারীদের জন্য সংরক্ষিত নারী আসন রেখেছেন। কিন্তু লড়াই শেষ হবে না। লড়াই চলবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিপিডির পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জরিপ বলছে- শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ কমছে। পোশাক খাতেও প্রতিনিয়ত অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে। আগে এই খাতে ৮৫ ভাগ শ্রমিক থাকলে এখন তা ৫০ ভাগে নেমে এসেছে। এই খাতে দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নতি হচ্ছে। তাই সরকারকে নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিতের বিষয়ে কঠোর নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
আরএম/জেডএস