মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পিঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পিঁয়াজ আমদানির মূল উৎস হচ্ছে ভারত। মে-জুন মাসে ভারতের পিঁয়াজ উৎপাদনকারী উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাঙ্খিত বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পিঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়। ফলে পিঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত প্রতি মেট্রিক টন পিঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। এই মূল্যে বাংলাদেশি আমদানীকারকরা পিঁয়াজ আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে পিঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া বাংলাদেশেও এ বছর দীর্ঘমেয়াদী বন্যার কারণে পিঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় স্থানীয়ভাবে মজুদ করা পিঁয়াজের একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হয়ে যায়, যা স্থানীয় বাজারে পিঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত বাজার মনিটরিং টিম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে।
তোফায়েল আহমেদ জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ২টি করে মোট ১৪টি টিম ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজার মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি টিমে কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, উত্তর-দক্ষণি সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের সদস্যসহ মোট ১১ জন করে সদস্য রয়েছে।
তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং টিমের কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে বাজার মনিটরিং টিমের দলনেতাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সভা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, চাহিদা নির্ণয়, স্থানীয় উৎপাদন, মজুদ পরিস্থিতি, আমদানির পরিমাণ ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ