সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন-কাঠামো নির্ধারণে নবম ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভায় আইনটির অনুমোদন দিয়েছে। এখন সংসদে যাবে।
‘আপনাদের সংবাদপত্র-গণমাধ্যম সংক্রান্ত বিষয় যেহেতু আছে, আপনারা মনে করছেন, অবশ্যই উত্তর দেবো। আমরা পুরো বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি, আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর দেবো। ’
আইনটিতে গোপনে কোনো তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করলে তা গুপ্তচরবৃত্তি এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার গণমাধ্যমের প্রচার ও প্রসারে বিশ্বাস করে। আইনটা দেশের আইন হিসেবে এসেছে, এ ব্যাপারে আজকে নয়, পরে কথা বলবো।
আইনমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ইনু।
ত্রিপক্ষীয় কর্মপদ্ধতি না হলে ইলেকট্রনিক মিডিয়া বাদ
প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একদিন আগে গঠন হওয়া নবম ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দফায় দফায় মালিকদের সঙ্গে আলাপ করে ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান আজকে থেকেই কাজ শুরু করতে পারবেন। কোনো অসুবিধা নেই।
ওয়েজ বোর্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিষয়টি আইনগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলা হলেও অনলাইনের বিষয়ে কোন স্পষ্টতা নেই।
অনলাইন ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের কর্মীদের বিষয়ে কী হবে- এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ওয়েজ বোর্ড গঠন করার একটা পরামর্শ ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওয়েজ বোর্ডের আইনের মধ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই। অনলাইন গণমাধ্যমের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে নবম ওয়েজ বোর্ডে কেবল প্রিন্ট বা খবরের কাগজকে অন্তর্ভুক্ত করেই গঠন করা হয়েছে।
‘প্রিন্ট মিডিয়ার মতো যতোক্ষণ ইলেকট্রনিক বা অনলাইন মিডিয়ায় ত্রিপক্ষীয় কর্মপদ্ধতি না হচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত এক তরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এ ব্যাপারে সাংবাদিক নেতারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে পারেননি। এরমধ্যে যদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমের কর্মী-মালিকরা একটা কাঠামো দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আর একটা প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলে দিতে পারবো। এটা কোনো ব্যাপার নয়। ’
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, গণমাধ্যম কর্মী আইন পাসের ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ এলে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে।
প্রজ্ঞাপনে সুপারিশ প্রদানের জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের পরামর্শ দেবেন, আমরা বাস্তবায়ন করবো।
তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা ওয়েজ বোর্ডের ওপর ভরসা রাখুন, আশা করি অতীতের মতোই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন ওয়েজ বোর্ড দিয়েছেন, ২০১২ সালে দিয়েছেন, আজকে আবার দিয়েছি। আশা করি নবম ওয়েজ বোর্ডের রোয়েদাদ দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠাবেন, আমরা বাস্তবায়ন করবো।
অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে দুর্বলতা আছে জানালে মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের আওতায় নজরদারি কমিটি দেখভাল করে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাগাদা দিচ্ছি, যারা বাস্তবায়ন করেননি, তারা সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোনো সাংবাদিক-কর্মচারী কোনো দাবি উত্থাপন করেনি। আমরা চেষ্টা করবো বাস্তবায়ন করার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এমআইএইচ/এইচএ/