মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র-ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ক বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া দেখভালের দায়িত্বে আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী মন্ত্রী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনে যেসব সামরিক কর্মকর্তা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে।
মার্কিন উপমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, জ্বালানিসহ সবগুলো ক্ষেত্রে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এর মাধ্যমে সমৃদ্ধ, নিরাপদ এবং আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল তৈরি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘস্থায়ী সামরিক সম্পর্ক দৃঢ় করবো। একইসঙ্গে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে উৎসাহিত করবো। বাংলাদেশ এবং অন্য সম-মানসিকতার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রসংশা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই অঞ্চলের একটি দুর্দান্ত সফলতার গল্প। গত দশ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ছয় শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হার অর্জন করে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এই অঞ্চল ভারত সাগর থেকে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত নৌ-চালনার স্বাধীনতা এবং বৈশ্বিক নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের কদর করি। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অন্যতম হিসেবে অবদান রেখে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশকে আমরা উচ্চ পর্যায়ে মূল্যায়ন করি।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাট, বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ এবং মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
কেজেড/আরআর