এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় কমিটিকে বলেছে, তাদের ছাড়পত্র ছাড়াই সড়ক বিভাগ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিটি সভাপতি ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ ও ইয়াসিন আলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক পরবর্তী এক প্রেসব্রিফিং-এ কমিটির সভাপতি বলেন, শতবর্ষী গাছগুলো কাটার বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নিয়মানুযায়ী পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নেয়নি। এমনকি বনবিভাগের মতামতও নেয়নি। ফলে ওই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো না। আদালতের আদেশে ওই গাছ কাটা স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু কমিটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গাছগুলো কাটা যাবে না। গাছ রেখেই সড়ক সম্প্রসারণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে সম্প্রতি সড়ক বিভাগ ওই সড়কের শতবর্ষী গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। ওই সিদ্ধান্তের পরই গাছ রক্ষায় আন্দোলন শুরু করেন পরিবেশবাদীরা। আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। পরে উচ্চ আদালত ওই গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করে। একই ধারাবাহিকতায় গতকাল সংসদীয় কমিটি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিলের সুপারিশ করলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ