হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ১৭ বছর পর বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-রমিজ আলী, তরিক উল্লাহ, আব্দুল মান্নান, বাচ্চু মিয়া, ইউসুফ উল্লাহ, আব্দুল মতলিব, নসিম উল্লাহ, আব্দুর রহমান, আব্দুস সালাম এবং আব্দুল হান্নান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে বাঘজুর গ্রামের রমিজ আলীসহ কয়েকজন একই গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি হাঁস চুরি করেন। এ কথা জানতে পেরে গ্রামের লোকজনকে বলে দেন নিবর। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাঁস চুরির সঙ্গে জড়িতরা। ২০০১ সালের ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টায় গ্রামের মসজিদে যাচ্ছিলেন নিবর। ওই সময় রমিজ আলী ও তার লোকজন তাকে দেশি অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। ওইদিন রাতেই নিবরের ছেলে হারুন মিয়া বাদি হয়ে বানিয়াচং থানায় ২৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বানিয়াচং থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরুণ চন্দ্র চন্দ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার এ রায় দেন।
মামলা চলাকালে অসিম উল্লাহ, শারাফত উল্লাহ ও আব্দুস সোবহানের মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন আইয়ুব আলী, আব্দুর রশিদ, জামাল উদ্দিন, নুর ইসলাম, আব্দুর রউফ, আব্দুল বারিক, আব্দুন নূর, রফিক উল্লাহ, খুরশেদ আলী, আব্দুল হামিদ, আব্দুল হামিদ-২, আব্দুল হক, আব্দুল মান্নান ও সিরাজ আলী।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক বাংলানিউজকে জানান, আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্থগিত করে রাখায় মামলাটির রায় ঘোষণা হতে এতো বছর লেগেছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তারা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এসআই