প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ছে। এসব আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা বিরাট চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়েজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তেব্য রাখেন শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য সরকার নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত অভিবাসনের পক্ষে কাজ করছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে, কম খরচে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করবে। এজন্য এরইমধ্যে ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিবাসীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে সারাদেশে ‘টেকনিক্যাল স্কুল’ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০টির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই স্কুলের ধারণা সম্পূর্ণ নতুন। এগুলো কিন্তু প্রচলিত পলিটেকনিক বা ভকেশনাল স্কুল নয়। সাধারণ স্কুল কলেজের মতোই এইসব ‘টেকনিক্যাল স্কুল’ পরিচালিত হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিবাসীদের আয় দেশে পাঠানোতে যে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছিলো, এরইমধ্যে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। গত কয়েকমাসে রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড তৈরির প্রবণতায় তা দেখা যাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে বেতন কমে যাওয়া প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে ১০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। অথচ সেখানকার শ্রমবাজার এতটা বড় নয়। ফলে নিয়োগকারীরা সেই সুযোগ গ্রহণ করছে। এর বিকল্প হিসেবে সরকার নতুন নতুন শ্রমবাজারের সন্ধান করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে হংকং বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি অ্যানিক বার্ডিন, রামরুর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ড. তাসনিম সিদ্দীকি, গবেষক ড. অনন্ত নীলিম, ড. চৌধুরী রাশেদ শাহাবাব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ