ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যানজটে নাভিশ্বাস, স্বীকার করলেন মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
যানজটে নাভিশ্বাস, স্বীকার করলেন মেয়র জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে সাঈদ খোকন

ঢাকা: যানজটে রাজধানীবাসীর নাভিশ্বাস উঠছে বলে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, সরকার যানজট নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। নগরবাসীকে এজন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র সাঈদ খোকন।  

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুন্সি কামরুজ্জামান কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ বিভাগীয় প্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সরকার এমআরটি, বিআরটি লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে, এজন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

তবে এই মুহূর্তে কিছুটা স্বস্তি ফেরাতে নগর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে ডিএসসিসি এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বিশেষ অভিযানে নামছে ডিএসসিসি।

নগরবিশেষজ্ঞদের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, আমরা যদি ফুটপাত পথচারীদের চলাচল উপযোগী করতে পারি তাহলে মানুষ রাস্তায় নামবে না। যানবাহন চলাচল সহজ হবে। ফুটপাত চলাচলের উপযোগী হলে ২৫-৩০ শতাংশ যানজট কমে যাবে।

নগর এলাকায় গৃহ বিবাদের অন্যতম মূল কারণ যানজট বলে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, এই শহরে পারিবারিক যত মনোমালিন্য, ঝগড়াঝাটি, রাগ-অভিমান হচ্ছে তার অন্যতম মূল কারণ যানজট।  

তিনি বলেন, মনোবিজ্ঞানীদের মতে আরবান এলাকায় আনহ্যাপিনেসের ৬০-৭০ শতাংশ হয় যানজটের কারণে। তাই রাজধানীবাসীকে একটু হলেও স্বস্তি দিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বিশেষ অভিযান শুরু হবে, যা চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই। এছাড়া ডিএসসিসি এলাকায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক অভিযান শুরু করবে ডিএসসিসি।
 
ডিএসসিসি এলাকার রাস্তাঘাটের বিবরণ তুলে ধরে মেয়র বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, এই শহরের শতকরা ৯০ ভাগ রাস্তঘাট ভাঙাচোরা ছিল, আমাদের অর্থেরও সংকট ছিল। আমরা সেই সংকট নিয়েই যাত্রা শুরু করেছি। রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর এখন ঢাকা দক্ষিণের শতকরা ৮৫ ভাগ রাস্তা ব্যবহারের উপযোগী হয়েছে। আর ১৫ ভাগ রাস্তা নষ্ট থাকতে পারে। এসব রাস্তা সংস্কারে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই শুষ্ক মৌসুমেই আমরা শতভাগ রাস্তা ঠিক করে দেব, যেন নগরবাসী সাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারেন।

জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে মেয়র কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধন দেন, কিছু সমস্যা সমাধান করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সিদ্ধেশ্বরী এলাকার বেশিরভাগ সমস্যাই ওয়াসাকেন্দ্রিক। এ কারণে ওয়াসাকে দুষলেন এলাকাবাসী। মেয়র এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন সকল সমস্যা সমাধান করবেন বলে। একই সঙ্গে আগামী এক বছর হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

‘মেয়র আঙ্কেল রাস্তায় পা‌নি জমে থাকে’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।