বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর একে একে ২৫ জন শ্রমিক চিকিৎসা নিতে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
বিজিএমইএ ভবনের কর্মীরা দাবি করেন, দুপুর ১২টার দিকে ওই ভবনের সামনে শ্রমিকরা জড়ো হতে থাকে। সাড়ে ১২টার দিকে তাদের সমাগম থেকে বিজিএমইএ ভবনের ভেতরে ও বাইরে কাচসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় একটি গাড়িও। জবাবে বিজিএমইএ কর্মীরা তাদের লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করেন।
তবে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা আসিয়ান গার্মেন্টসের শ্রমিকরা দাবি করেন, তাদের অবস্থানে হঠাৎ ১০-১২ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের মারধর করতে থাকেন। এসময় তারাও ওই যুবকদের ধাওয়া দেন। এক পর্যায়ে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়িও হয়। তবে কোনো ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা।
আসিয়ান গার্মেন্টসের লাইন আয়রনম্যান মাইনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ক’দিন আগে মামুন নামে আমাদের এক সহকর্মীকে হঠাৎ ছাঁটাই করা হলে সবাই প্রতিবাদ করি। এরপর পরশু দিন (২৯ জানুয়ারি) সকালে যথারীতি গার্মেন্টসে গেলে দেখি কারখানা বন্ধ। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিএমইএ’র লোকজন এসে আমাদের আশ্বাস দেয়। তারা আমাদের বিজিএমইএ কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলার পরামর্শ দেয়। সে আশ্বাসে বুধবার আমরা এখানে জড়ো হই। কিন্তু তখন ১০-১২ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায়।
ছাঁটাই হওয়া মামুন বলেন, বিনা নোটিশে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এরপর হঠাৎ গার্মেন্টস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের দুই মাসের বেতন বকেয়া। এই বকেয়া বেতন আদায়ে আজ আমাদের এই অবস্থান চলাকালে গার্মেন্টসের মালিক মো. শাহীন বিজিএমইএ ভবনের ভেতরে যান। তখন আমরা দফায় দফায় জানতে চাই নিজেদের বেতনের ব্যাপারে। কিন্তু ১০-১২ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা আমাদের ওপর হামলা চালায়। কিন্তু আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি।
এ বিষয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর শ্রমিকরা একে একে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা চলে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/