বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালকে অ্যাম্বুলেন্সের প্রতীকী চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম, মোতাহার হোসেনসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য ও সিভিল সার্জনের কাছে চাবি হস্তান্তর করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাপান থেকে আনা সর্বাধুনিক এ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিককে। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন। পর্যায়ক্রমে দেশের হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ৫০০ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হবে।
চাবি হস্তান্তরের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যাম্বুলেন্স মানুষের জীবন রক্ষার জন্য, চিকিৎসার জন্য সত্যিকার বাহন হিসেবে কাজ করবে। অ্যাম্বুলেন্স যদি শুধু রোগী বহনের জন্য হয় তাহলে ভালো হবে। আপনারা খেয়াল রাখবেন যেন কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে না যায়। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন অফিসে ফান্ড থাকবে, সেটি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি, সিলেটের বিয়ানীবাজার, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, খুলনার পাইকগাছা, কুমিল্লার বুড়িচং, পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ, বাগেরহাটের ফকিরহাট ও মোল্লারহাট, পটুয়াখালীর বাউফল, নড়াইলের কালিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, মুন্সিগঞ্জের টুংগীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়।
এছাড়াও গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঠাকুরগাও সদর হাসপাতাল, মানিকগঞ্জের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিক হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ/