বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর মিনিবাস ও বাস মালিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আকবর।
তিনি জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক, যশোর-মাগুরা মহাসড়ক, যশোর-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়ক, যশোর-নড়াইল সড়ক, যশোর-চৌগাছা সড়ক এবং যশোর রাজারহাট-মঙ্গলকোট সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এ সড়কগুলো এখন গাড়ি চলাচলে অনুপযোগী ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রী ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে। যে কারণে বাস চালক ও শ্রমিকরা এসব সড়কে গাড়ি চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে সড়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তাই আগামী এক মাসের মধ্যে সড়কগুলো সংস্কারের আল্টিমেটাম দিতে বাধ্য হয়েছে পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ মার্চ থেকে দক্ষিণবঙ্গের ১৮টি রুটে আমরা ধর্মঘট শুরু করতে বাধ্য হবো। এ সময় অন্য জেলার গাড়িও যশোরের ওপর দিয়ে চলতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
পরিবহন মালিকদের এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্রনাথ মণ্ডল, সহ-সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার কুণ্ডু, বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির মামুনুর রশিদ বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মো. মোর্তজা হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
ইউজি/জিপি