ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদকরোধে রাতেই অভিযানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
মাদকরোধে রাতেই অভিযানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংসদ ভবন থেকে: রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে মাদকের ভয়বহতার চিত্র সংসদে তুলে ধরেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তার কথা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মাদকের ছড়াছড়ির কথা উল্লেখ করে ৩০০ বিধিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলের এই সংসদ সদস্য।  

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় এসব ঘটছে? আমি আপনার কথাগুলো নোট নিয়েছি।

আমরা চাই না এটা ঘটুক, আজকেই অভিযান চলবে।

বিভিন্ন স্পটের চিত্র তুলে ধরে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজধানীর রমনায় ৭৪টি, লালবাগে ৯০টি, ওয়ারলেসে ১৫০টি, মিরপুরে ১২৫টি, গুলশানে ১১২টি, উত্তরায় ৬৮টি, মতিঝিলে ১২২টি এবং তেজগাঁওয়ে শতাধিক স্পট রয়েছে। কখনো এসব এলাকায় দিনের বেলা গেলে দেখা যাবে শিশুরা বিভিন্ন পন্থায় মাদক সেবন করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জুতার একটা বিশেষ ঘাম (ড্যান্ডি)। এটা পলিথিনের মধ্যে নিয়ে শিশুরা নেশা করে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় এরা এসব করে।

তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যদি হাজার খানেক এমন শিশুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেখভালের জন্য দেয় তাহলে এদের ভবিষ্যত ভালো হবে। শহরের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিও দূর হবে, শহর পরিষ্কার থাকবে। কারণ, এরাই ছিনতাই করে, শহর অপরিষ্কার করে। এদের কারণে রাস্তায় চলা দায়।

স্পিকারের উদ্দেশে ফিরোজ রশীদ বলেন, হাইকোর্ট মাজার বা গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারে কিংবা কমলাপুর রেলস্টেশনে হাজার হাজার শিশুকে পাবেন। এদের দেখবে কে? এরা তো আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ছে। কাউকে না কাউকে দেখতে তো হবে? গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পল্লী অঞ্চলে এখন ইয়াবা পাওয়া যায়। এই মাদক এতটা সহজলভ্য হয়ে গেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আছে তারা যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে কে নেবে?

তার এই বক্তব্যে শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে কোথায় কোথায় এসব হয় আবার উল্লেখ করতে বলেন। তখন ফিরোজ রশীদ বলেন, হাইকোর্ট, কমলাপুর রেলস্টেশন, নয়াপল্টন এসব এলাকায় গেলে এই মুহূর্তে কমপক্ষে ৫০০ মাদকসেবী পাওয়া যাবে। এছাড়া গুলিস্তানের পার্কেও এসব লোকজন পাওয়া যাবে। পার্কটির এখন উন্নয়ন কাজ চলছে।

এরপর সংসদ নেতা ফ্লোর নিয়ে বলেন, সংসদ সদস্য যেসব বিষয় বলেছেন, সেগুলো আমি নোট নিয়ে রেখেছি। আজকেই অভিযান চালাব। কারণ, আমরা চাইনা এসব ঘটুক। আমাদের সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদেরকেও এলাকার দিকে একটু বিশেষ নজর দিতে হবে। যেখানে গার্ডিয়ান আছেন, সেখানে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, যারা ভবঘুরে আছে তাদের বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ আছে, তাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়ে যাওয়া হয়।

অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি হবে না

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।