ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রবীণদের নিয়ে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
প্রবীণদের নিয়ে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে জাতিসংঘে 'কমিশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট'-এর ৫৬তম অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বয়স্ক জনসমষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। বয়স্ক জনসংখ্যার সর্বাত্মক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অবশ্যই আমাদেরকে অগ্রমুখী নীতি ও কৌশল নিতে হবে। যাতে প্রবীণরা কোনভাবে পিছিয়ে পড়ে না থাকেন এবং টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে তারাও যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হয়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জাতিসংঘে 'কমিশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট'-এর ৫৬তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ‘বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০২ সালে গৃহীত মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন’র তৃতীয় রিভিউ ও অ্যাপরাইজালের আঞ্চলিক ফলাফলের ওপর গ্লোবাল রিভিউ সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউএন-ডেসা ও ইউএন-এসকাপ’র আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে স্পিকার জাতিসংঘের এই সভায় অংশ নেন। আলোচনা সভায় তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
 
স্পিকার তার বক্তব্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান ধারার কথা উল্লেখ করে বলেন, শিশু ও নারী মৃত্যুহার হ্রাস এবং প্রজনন ক্ষমতা কম এমন দীর্ঘজীবী দম্পতিদের সংখ্যা বৃদ্ধি বয়স্ক জনসংখ্যার এই ধারা সৃষ্টি করেছে। এর ফলে ধনী দেশে পরিণত হওয়ার আগেই অনেক দেশে প্রবীণ সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়েছে।
 
ইউএন-এসকাপ প্রণীত রিপোর্টে এশীয় ও প্রশান্তমহাসাগরয় অঞ্চলের বয়স্ক জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ অঞ্চলের দেশগুলো যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশেরই বয়স্কদের জন্য জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ দেশে এ বিষয়ে রয়েছে যুগোপযোগী আইন। বাংলাদেশ ২০১৩ সালে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোও যে বয়স্ক জনসংখ্যার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই সচেতন হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এটি তারই উদাহরণ।  

এ জাতীয় বৈষম্য নিরসনের বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
 
২০০২ সালে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন গৃহীত হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এর রিভিউ হয় এবং কমিশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের অধিবেশনে রিপোর্ট উত্থাপন করা হয়। এবারের ৫৬তম অধিবেশনে গ্লোবাল রিভিউতে এর তৃতীয় রিভিউ উপস্থাপিত হলো।  

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে আঞ্চলিক রিপোর্ট উপস্থাপন উপলক্ষে এই গ্লোবাল রিভিউতে অংশ নেন।
 
উচ্চ পর্যায়ের এ আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট ছিলেন- প্যারাগুয়ের সোশ্যাল অ্যাকশন বিষয়ক মন্ত্রী হেক্টর র‌্যামন কার্ডিনাস মলিনাস, পর্তুগালের শ্রম সংহতি ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জোসে অ্যান্তোনিও ভাইয়ারা দ্য সিলভা, জাম্বিয়ার কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রী মিজ্ এমিরাইন কাবানসি, বৈরুতের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির মহামারি বিদ্যা ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আলবা শিবাই।  

অনুষ্ঠানটির মডারেটর ছিলেন সোশ্যাল ডেভোলপমেন্ট কনসালটেন্ট মিজ সিলভিয়া বিয়েলিজ্।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।