তারা হলো- উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম রায়গঞ্জ ২ নং আবাসনের দিনমজুর নুর ইসলামের মেয়ে রওশনারা খাতুন ও আব্দুল আলিমের মেয়ে আফরোজা খাতুন। তারা হাতিয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে অপহৃত কন্যা শিশু রওশনারা খাতুন ও আফরোজা খাতুন সাংবাদিকদের জানায়, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে আবাসন থেকে অদূরে নির্জন রাস্তায় খেলা করছিল তারা। এ সময় অপরিচিত একজন মানুষ এসে তাদের চানাচুর খেতে দেয়। পরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোড়পূর্বক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয়।
কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন জানতে চাইলে অপরিচিত অপহরণকারীরা জানায় তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ কথা শুনে ওই দুই ছাত্রী কান্নাকাটি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাদের মুখ চেপে ধরে। পরে সন্ধ্যায় তাদের নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি।
নাগেশ্বরী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সারওয়ার পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ডে অটোরিকশা থেকে নেমে বাসে তোলার সময় শিশু দু’টি চিৎকার চেঁচামেচি ও কান্নাকাটি করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এ সুযোগে শিশু দু’টিকে ফেলে চম্পট দেয় অপহরণকারীরা ।
পরে নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী বেগমের স্বামী কামাল হোসেন সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশের জিম্মায় দেন। রাতেই শিশু দুইটিকে তাদের বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
অপহৃত শিশু রওশনারার বাবা নুর ইসলাম ও আফরোজার বাবা আব্দুল আলিম জানান, তারা বুঝতে পারেনি তাদের বুকের ধনকে কেউ অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল। অন্যান্য দিনের মত কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তারা মেয়েকে না পেয়ে ভেবেছিলেন হয়তো আশ-পাশে কারো বাড়িতে আছে তাদের মেয়েরা। যেহেতু সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে তারা বাড়ি ফিরবে। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে গেলে তারা বাড়ি না ফেরায় তাদের চিন্তা হয়। তাই তারা খুঁজতে বের হন। এ সময় কামাল হোসেনের ফোন পেয়ে তারা থানায় ছুটে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এফইএস/এএটি