বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরি আন্দোলনের সদস্য সচিব বাহারানে সুলতান বাহার।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা ঘোষণা করা হয়। তখন খাদ্য ভাতা ৬৫০, বাড়ি ভাড়া ১২শ, যাতায়াত ভাড়া ২৫০, মেডিকেল ২শ, বেসিক ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৩ আর ২০১৮ সাল এক নয়। আকাশ-পাতাল ব্যবধান।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা শিল্প ও শ্রমিকদের উন্নতির লক্ষ্যে মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার জন্য মজুরি বোর্ড ও সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ মুজরি ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবি এবং সেক্টরের শ্রমিক প্রতিনিধিকে মজুরি বোর্ডের সদস্য করারও দাবি জানাচ্ছি।
বাহার আরো বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি লিমা ফেরদৌস, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহানারা বেগম, গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি আলমগীর রনি, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন সহিদ, জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি এম দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ