উদ্ধার হওয়া কিশোরী রিপা খাতুন (১৩) শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ভুররিয়ারকুটি গ্রামের ইসরাফুল আলমের মেয়ে। সে মিয়াপাড়া নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বিদ্যাবাগীশ ঠোস সীমান্তের ৯৩৭ নম্বর পিলারের ওপারে ভারতীয় নো-ম্যান্সল্যান্ডে অবস্থিত একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
রিপার দাদা আব্দুল মিয়া ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুঃসম্পর্কের আত্মীয়তার সুবাদে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার সেউটি-২ গ্রামের তাজুল ইসলাম (৩৫) রিপার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই সূত্র ধরে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে তাজুল অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে স্থানীয় যুবক মমিনুলের সহায়তায় রিপাকে তুলে নিয়ে কাঁটাতারের বাইরে অবস্থিত নিজ বাড়িতে আটকে রাখেন।
তারা রিপাকে পাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলো। মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর শুরু করে। সকালে রিপার অবস্থান জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বিদ্যাবাগীশ এলাকার ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাজুল এর আগেও ৩/৪টি মেয়েকে বিয়ে করে ভারতে পাচার করেছিল। এটা তার ব্যবসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এফইএস/আরআর