বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই গৃহকর্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ লাবনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আগুগঞ্জ উপজেলার নাছির উদ্দিন মেয়ে।
কদমতলী থানা পুলিশ নির্যাতনের খবর পেয়ে ওই বাড়ির ৬তলা বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
লাবনী অভিযোগ করে জানান, গত দুই বছর ধরে গৃহকর্ত্রী মারিয়া সুলতানার বাসায় কাজ করছে সে। গৃহকর্ত্রী সুলতানা কারণে অকারণে তার ওপর প্রায় নির্যাতন চালাতো। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুলায় ভাত রান্না করার সময় ভাত একটু বেশি সেদ্ধ হওয়ায় গরম পানি তার গায়ে ছুড়ে মারে। এতে শিশুটির মাথা ও হাত ঝলসে যায়।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, এলাকা বাসিদের মাধ্যমে নির্যাতনের খবর পেয়ে দগ্ধ অবস্থায় লাবনী উদ্ধার করা হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী মারিয়া সুলতানাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এজেডএস/জিপি