বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসার পাশের একটি মসজিদের দ্বিতীয় তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তানভির রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা খান জাহান আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত সার্জেন্ট খান জাহান আলী নগরীর ভোগীবালাপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। ছেলে তালহাকে বাড়ির পাশেই রহমানিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে হাফিজিয়া পড়ানোর জন্য ভর্তি করান তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে তানভির নিখোঁজ ছিলো। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন শিশুটির বাবা খান জাহান আলী।
পরে বিকেলে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম নিখোঁজ শিশু তানভিরের খোঁজে ওই মাদ্রাসায় যান। একপর্যায়ে মাদ্রাসার পাশেই মসজিদের দ্বিতীয় তলায় তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে নামাজ পড়ার একটি চটে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটির মস্তকবিহিন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে, অনেক খোঁজাখুজির পরও মাথাটি পাওয়া যায়নি।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এসআরএস/