শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছ থেকে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- হুইপ সহিদুজ্জামান সরকার, ইকবালুর রহিম, মো. শাহাবুদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা।
সিইসি-এর উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দিন আহমদের হাত থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন চিফ হুইপ।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার), প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)। আর ভোট ১৮ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন স্পিকার আবদুল হামিদ। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে সেদিন থেকে তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে ২৪ এপ্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আবদুল হামিদ।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৫ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অন্যকোনো প্রার্থী না থাকলে ওইদিনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদে ২৩তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন আবদুল হামিদ। আর যদি অন্য প্রার্থী থাকেন সেক্ষেত্রে ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে জাতীয় সংসদ ভবনে। সংবিধান অনুযায়ী এতে ভোট দেবেন সংসদ সদস্যরা (এমপিরা)। এবার সংসদে ৩৪৮টি ভোট রয়েছে।
আবদুল হামিদের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৯৬১ সালে কলেজের ছাত্র থাকাকালেই তিনি যোগ দেন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। এক পর্যায়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তাকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং সবশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন।
সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ।
নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
ইইউডি/জিপি