ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

একার পক্ষে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
একার পক্ষে মাদক নির্মূল সম্ভব নয় সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় মাদকের আগ্রাসন একার পক্ষে নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য ইউনিটের পক্ষ থেকে আমাদের সহায়তা করলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে। মাদক ব্যবসার অনেক গডফাদার চিহ্নিত করতে পারলেও তাদের সঙ্গে মাদক না থাকায় গ্রেফতার করতে পারি না।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।  

মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হলেও তারা কিছুদিন পর বের হয়ে আসে। কোনোভাবেই ধরে রাখা যায় না।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চানখারপুল, গেন্ডারিয়া, টিটিপাড়া, খিলগাঁও, পুরানা পল্টন, ভাটারা, মতিঝিল, আরামবাগ, যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণ বনশ্রী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজঁগাও রেলওয়ে বস্তি, গুলশান, উত্তরা, বেড়িবাঁধ এবং গাবতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে মোট ৩৬ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে।  

আটকরা হলেন- কামাল (৩০), শরিফ (৩৪), মাজুম খা (২৬), নাইম মিয়া (২০), মিজানুর রহমান (২৬), রুবেল গাজী (২৬), কাওসার (১৯), সাইদ খান (৫২), আনোয়ার হোসেন খোকা (৫৬), সিফাত (২৫), বিপ্লব (২৬), মানিক (২১), রায়হান (২১), তামিম হোসেন (২১), মনি রানি বিশ্বাস (৪৪), মফিজ (৩০) ও জহিরুল ইসলাম (৩২)।

অভিযানে ইয়াবা ১ হাজার ৯৬৫ পিস, গাঁজা ২ কেজি ৬৪০ গ্রাম, ফেনসিডিল ৫ বোতল, বিদেশি মদ ৭ বোতল, বিয়ার ৫ ক্যান, ১টি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলি, মোবাইল ফোন ৩টি এবং নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।  

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সাঁড়াশি অভিযানে মোট ৩৬ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। এ মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ১৯ জন মাদকাসক্ত চিহ্নিত করে তাদের চিকিৎসার জন্য মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।  

লোকবল সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে আমাদের মোট ১ হাজার ৭০৬ জন কর্মরত। এর মধ্যে অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ১ হাজার ১৯১ জন এবং আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মরত ২৩৬ জন।  

ইতোমধ্যে লোকবল নিয়োগের জন্য ৮ হাজার ৫০৫ জনের একটি কাঠামো তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেটি পাস হলে লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।  

লোকবল বাড়লে জেলা পর্যায়ে কাজের গতি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এসজেএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।