তবে ইদানীং দেশের অভ্যন্তরে পাওয়া যাচ্ছে মরণ নেশা এ ইয়াবা তৈরির ছোট ছোট কারখানার সন্ধান। সস্প্রতি রাজধানীর পাশেই নারায়ণগঞ্জের হরিপুরে ইয়াবা তৈরির ছোট একটি কারখানার সন্ধান পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ অনেকটা উদ্বেগ প্রকাশা করেন।
নারায়ণগঞ্জের হরিপুরে একটি ইয়াবা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওই কারখানার মূলহোতা পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
দেশেই ইয়াবা উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা মাদকের মূল উৎপাটন করতে চাই। তবে এর জন্য আমাদের যে লোকবল রয়েছে তা নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালানো কষ্টসাধ্য, তবে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হলে তা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের হরিপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি টিম হাবিবুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
এ সময় ওই বারির কর্তা হাবিবুর রহমান পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে তার স্ত্রী লাকী আক্তারকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।
হরিপুরের ওই বাড়ি হাবিবুর ছোট পরিসরে একটি ইয়াবা তৈরির কারখানা পরিচালনা করতো। বাড়ির ভেতরে কারখানাটি সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় ছিলো। টিনশেডের ওই বাড়ির ভেতরে তিনটি কক্ষের মধ্যে কারখানার সব কিছু পরিচালিত হতো।
জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেখান থেকে ইয়াবা তৈরির মূল উপাদান সিডিওফেড্রিনসহ বিভিন্ন ক্যামিকেল, ডাইস মেশিন তিনটি, সিসি ক্যামেরা দু’টি, ডিভাইস, মনিটর ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। হাবিবুর ও তার স্ত্রী লাকী দু’জনই ইয়াবা বিক্রি ও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো নকল ইয়াবা তৈরির উপাদান। তবে জব্দ হওয়া এসব ক্যামিকেল অধিদফতরের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
জব্দ হওয়া ইয়াবা তৈরির সিডিওফেড্রিন সম্পর্কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে মহাপরিচালক বলেন, গত বছরের এপ্রিলে এ উপাদানের আমদানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ হয়তো সেটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এসজেএ/জিপি