শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চতুর্থ ‘ঢাকা আর্ট সামিট’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি কোনো চিত্রশিল্পী নই।
মন্ত্রী বলেন, মানুষ নিজেকে জগতের কাছে তুলে ধরতে চায়। যখন লিখন পদ্ধতি বর্ণমালা, ভাষা বা ক্যামেরা তখন থেকেই মানুষ তার যাপিত জীবনের যে প্রকাশ ঘটিয়ে চলেছে তাই হচ্ছে কলা বা আর্ট। চিত্রকলা এর সবচেয়ে বড় একটি উদাহরণ এবং একারণেই তা ইতিহাসের বাহন। পুরনো মাটির বা কাসার পাতিল, তৈজসপত্রের গায়ে নানা আঙ্গিকে আমরা দেখতে পাই সে সময়ের যাপিত জীবনের চিত্র। বুঝতে পারি সে সময়ের খাদ্যাভ্যাস, আনন্দ-বিনোদন, সৌন্দর্যবোধ তথা সভ্যতার মাত্রা।
আধুনিক চিত্রকলার শক্তির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিবস্ত্র নারীর চিত্ররূপ সমাজের লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার প্রেরণা হতে পারে, দুর্ভিক্ষের চিত্র দাগিয়ে তুলে, ফুটিয়ে তুলতে পারে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার ভাবনা, মিছিলের চিত্র দিতে পারে গণজাগরণের উন্মাদনা। চিত্রকলার এমনই শক্তি, যা আমাদের হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে, আন্দোলিত করতে পারে।
সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা আর্ট সামিটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এসময় সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপিতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানী, ব্যবস্থা কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এসআইজে/এসএইচ