শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার রহমতপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে রহমতপুর পূর্বপাড়ার বাদশা মীর (মাস্টার) ও তার চাচাত ভাই লতিফ মীরের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন-লতিফ গ্রুপের রুবেল মীর (৩৫), রুমেল মীর (৩০), জামিলা বেগম (৫৫), রায়হান মীর (১৫), ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রুমি বেগম (২৫), রহমান মীর (৬০)।
বাদশা মাস্টার গ্রুপের বাদশা মীর (৫৫), আলমগীর শেখ (৩৫), বাবলু শেখ (৪০), রুনু বেগম (৩০), জাহাঙ্গীর শেখ (৩০) ও ইকবাল শেখ (২৫)। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ ও পার্শ্ববর্তী টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লতিফ মীর বলেন, বিকেলে বাদশা মাস্টারের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা করে। আমার লোকেরাও পাল্টা হামলা চালায়। এতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূসহ আমার ৬-৭ জন লোক আহত হয়েছে।
আহত বাদশা মীর বলেন, লতিফ আমার চাচাত ভাই। একটি অনুষ্ঠানে ওকে দাওয়াত দেয়নি। তাই আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় আমি ও আমার কয়েকজন আহত হই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাদশা শেখ বাংলানিউজকে জানান, লতিফ ঢাকায় থাকে সে যখন বাড়িতে আসে তখনই একটা ঝামেলা তৈরি করে। এবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত না দেয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদশা মাস্টারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ