এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে না পারলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিকের মালিক নজরুল ইসলাম হায়দার ও দারোয়ানকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মধ্য বাড্ডার হায়দার ডেন্টাল ক্লিনিক থেকে লিজা (২১) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত লিজার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বরগুনার তালতলায়। তিনি তালতলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুই বছর আগে আরাফাত রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় লিজার।
নিহত লিজার শ্বশুর মজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তিন মাস ধরে লিজা ওই ক্লিনিকে চাকরি করে আসছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ডিউটি করতো। প্রতিদিনের মতো আজও ডিউটিতে আসে। দুপুরে ক্লিনিকের মালিক মোবাইলে ফোন করে জানায়, লিজা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় লিজার মরদেহ পড়ে আছে।
সরেজমিনে ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, ভেতরে দরজার সামনে মেঝেতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ।
পুলিশ বলছে, হত্যার সময় লিজাকে পেছন দিক থেকে আঘাত করা হয়েছে। তার পিঠে ১১টি ক্ষত চিহ্ন, দুই হাতের কজ্বিতে দুটি ও ডান কানের নিচে দুটি জখমের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার সময় লিজা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। হত্যাকারী তাকে পেছন থেকেই ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায় রয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি কে বা কারা করেছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।
ক্লিনিকের গেটের সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও আছে। তবে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো ফুটেজ পায়নি পুলিশ।
ওসি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাটি আমরা বিকল দেখতে পাই। সেটি আগে থেকেই বিকল ছিল বা হত্যার আগে বিকল করা হয়েছে কিনা- সেটি ফরেন্সিক রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এসজেএ/এমআইএইচ/এমজেএফ