শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১০টায় র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার বাংলানিউজকে অভিযান চলছে জানিয়ে বলেন, সময় মতো প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হবে। এর আগে অবৈধ গোলাবারুদ ও অস্ত্র উদ্ধারে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শুরু হয় বলে জানান র্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।
সরেজমিনে সাতছড়ি রাস্তার কয়েকটি স্থানে র্যাব-পুলিশের একাধিক গাড়ি এবং সদস্যদের দেখা গেছে। তবে অভিযান স্থল থেকে অদূরে রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অভিযানে কি পাওয়া গেছে জানতে চাইলে বিমান চন্দ্র কর্মকার বলেন, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। ডিজি মহোদয় আসবেন, তখন প্রেস ব্রিফিং করা হবে। তিনি সংবাদকর্মীদের আশপাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সাতছড়িতে ৪ দফায় ৬ বার অস্ত্র ও গোলাবারুদ পায় র্যাব। ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, ১টি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, ১টি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেন র্যাবের সদস্যরা।
এরপর ১৬ অক্টোবর থেকে ৪র্থ দফার ১ম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুড়ে ৪র্থ দফায় ৩টি মেশিন গান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজি’র ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ