শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় এ তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ। কী পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে তার নির্দিষ্ট পরিমাণ এখনও বলেননি তিনি।
অপরদিকে র্যাবের অভিযানের ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন এখনও কিছু বলতে পারছেন না। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই এলাকার সুনীল বামিজ নামে এক উপজাতি বলেন, কয়েকদিন ধরে র্যাব-পুলিশ এবং বিজিবির উপস্থিতি বেশি টের পাওয়া গেলেও তারা কি করছেন আমরা জানিনা।
একই এলাকার কৈলাশ বামিজ বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করার জন্য অনুরোধ করেন কৈলাশ।
এদিকে, দুপুরে র্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযানকালে র্যাব বেশ কয়েকটি বাংকারের সন্ধান পেয়েছে। এখানে এন্ট্রি ট্যাংক রকেট লঞ্চার শনাক্ত করা হয়েছে। ডিজি মহোদয় আসলে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। তিনি হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থলে আসবেন।
সরেজমিনে সাতছড়ি রাস্তার কয়েকটি স্থানে র্যাব-পুলিশের একাধিক গাড়ি এবং সদস্যদের দেখা যায়। তবে অভিযানের স্থলের অদূরে রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সাতছড়িতে ৪ দফায় ৬ বার অস্ত্র ও গোলাবারুদ পায় র্যাব। ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, ১টি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, ১টি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেন র্যাবের সদস্যরা।
এরপর ১৬ অক্টোবর থেকে ৪র্থ দফার ১ম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুড়ে ৪র্থ দফায় ৩টি মেশিন গান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজি’র ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ